জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাড়ী শ্রমিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে জগন্নাথপুর বাজারের পৌর পয়েন্ট নামক রাস্তায় তিনদিক থেকে আসা যানবাহন আটকা পড়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর প্রায় দেড়টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকলে ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা করতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনকে মারাত্মক যানজটে পড়তে হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে ঈদ উপলক্ষে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন কেনাকাটার জন্য আসেন পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারে। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় যানবাহনের। মিনিবাস, সিএনজি, অটোরিক্সা, লেগুনা, মাইক্রোবাসসহ সব যানবাহন এসে ভীড় জমায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পৌর পয়েন্টে। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয় সর্বক্ষণ। তারই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস পৌর পয়েন্টে এলে অপরদিক থেকে আসা মাইক্রোবাসটি গন্তব্যস্থলে যেতে চাইলে রাস্তায় থাকা অরক্ষিত গাড়ীগুলোর জন্য আটকা পড়ে। এ সময় মিনিবাস চালক, মাইক্রোবাস চালক ও মোটর সাইকেল মালিকের মধ্যে ত্রিমুখী ঝগড়া বাঁধে। তারই জের ধরে পৌর পয়েন্ট দিয়ে বয়ে যাওয়া সুনামগঞ্জ, সিলেট ও আউশকান্দিসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আসা যাওয়া যানবাহনের রাস্তা মিনিবাস ও মাইক্রো দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেন যানবাহন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মাসুম আহমদ, যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্নাসহ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। তাঁদের হস্তক্ষেপে রাস্তার অবরোধ তুলে নেন জগন্নাথপুর মাইক্রো শ্রমিক সংগঠনের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ও মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সেক্রেটারি রেজন মিয়া।