সুলতান সুমন ::::
অবশেষে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার গঠিত জেলা ও মহানগর কমিটিতে সাড়ে সাত শ’র উপরে নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। তবে আজ-কালের মধ্যে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট ছাত্রদল এক শীর্ষ নেতা।
এদিকে, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দুই কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা সকলই দলের জন্য ত্যাগী ও নির্যাতিত। বর্তমান যে কমিটি ঘোষণা করা হবে তাতে সহ-সভাপতি, সহ-সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদ পেয়েছেন দু’ শতাধিক নেতা-কর্মী।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে অনুমোদন দেয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা ছিল ওই কমিটির। কিন্তু সরকার বিরোধী আন্দোলন ও অভ্যন্তরীণ বিরোধ, সংঘাত, সংঘর্ষে প্রায় ২ বছর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে সাধারণ নেতা-কর্মীদের প্রতীক্ষা আর ধৈয্যর্র অবসান হলো বলে জানিয়েছেন সিলেট ছাত্রদলের ত্যাগি কর্মীরা। এর পূর্বে ছাত্রদলের আন্দোলন সংগ্রামের সুপরিচিত নেতা কর্মীরা তাদের ফেইসবুক পোষ্টে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এই নিয়ে বিগত কয়েক দিন যাবত সিলেট জোড়ে চলছে আলোচনা। তবে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। দলের সংবিধান অনুসারের ২ বছর পর পর নতুন কমিটি গঠনের। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সিলেট ছাত্রদল আরো সু-সংগঠিত থাকত। নতুন নেতৃত্ব তৈরি হত। দীর্ঘ ১৬ বছরে কমিটি হয়ার কথা ছিল ৮ বার সেই জায়গা হয়েছে ১ বার। যদি কমিটি দলের সংবিধান অনুসারে হতে তা হলে ৮ বার সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি আসত। বেরিয়ে আসত নতুন নেতৃত্বে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার পাটোয়ারি সিলেট সুরমাকে জানান, সিলেট জেলা ও মাহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আজ কালের মধ্যে তা ঘোষণা করবে সিলেট ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
তবে সিলেট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী সিলেট সুরমাকে নিশ্চিত করলেও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও মাহনগর সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের দু’জনের মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।