সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: দেশে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে তাদের জন্য ‘আলাপন’ নামে ‘ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে বরিশালের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আলাপন’ নামের এই অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, এই অ্যাপটি হচ্ছে জনপ্রিয় অ্যাপ ভাইবারের মত এবং এই অ্যাপ ব্যবহারে কোন ফি বা চার্জ লাগবে না। এটি বিশ্বস্ত ও নিরাপদ। শফিউল আলম জানান, সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ ১৪ লাখ কর্মকর্তার জন্য এই অ্যাপ তৈরি করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়।তিনি বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক একটি আধুনিক ডিজিটাল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশ হিসাবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গত সাড়ে সাত বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো নিমার্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের সাবির্ক কর্মকান্ড আগের চেয়ে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অ্যাপ (আলাপন) এই কর্মকান্ড আরো নিভর্রশীল ও দ্রুত করেছে।
শফিউল আলম বলেন, এই অ্যাপটি ইতোমধ্যেই আওএস ও গুগল প্লে-স্টোরে অবমুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও পে-স্কেলে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে বিনামূল্যে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করতে পারবেন এবং গ্রুপ ভিত্তিক আলোচনা (চ্যাট ও গ্রুপ চ্যাট) এবং গ্রুপ কনফারেন্স, আলাপ আলোচনা, এবং ভিডিও কনভারসেশন (ভয়েস ও ভিডিও কল) বার্তা প্রেরন, ও সরকারি ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া এর মাধ্যমে তাদের অবস্থানও জানা যাবে।
তিনি বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড সার্চ অপশনে গিয়ে যে কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সব ধরনের যোগাযোগ করা যাবে।
সচিব জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের আন্তঃযোগাযোগের নিরাপত্তায় কেউ বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য এই অ্যাপে সকল ধরনের আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে ‘আলাপনে’ কম ব্যান্ডউইথ, কম চার্জ ও কম স্পেসের প্রয়োজন হবে।
এসব সুযোগ-সুবিধার কারণে আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে ‘আলাপনকে’ বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।