স্টাফ রিপোর্টার ::
নগরীর কাজলশাহ যুগলটিলায় অপ্রীতিকর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেট কাজলশাহ ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাস বাদি হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০০/২৫০০ জনকে আসামীকে করে একই উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা করে প্রাণে হত্যায় সাধারণ ও গুরুত্বর জখম, ভাংচুর এবং ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধণের অভিযোগ এনে কোতোয়ালী থানায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৪ (০৩-০৯-২০১৬)। আগামী ১ নভেম্বর আদালত মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, জুবায়ের আহমদ, ফয়ছল আহমদ, কয়ছর আহমদ, সেলিম আহমদ, জাহাঙ্গির, মাসুক মিয়া, ফারুক মিয়া, দিল মিয়া, আফছর মিয়া, আফজাল মিয়া, জলিল মিয়া, লিটন মিয়া, সুরুজ্জামান মিয়া, জসিম মিয়া, জাহেদ আহমদ, পাবেল আহমদ, পারভেজ আহমদ, সোহেল মিয়া, বাদল মিয়া, ছালেহ আহমদ, মখলিছুর রহমান, কালাম মিয়া, বিলাল মিয়া, আমির হোসেন, শহীদ মিয়া, হীরা মিয়া, আশরাফ মিয়া, শফিক মিয়া, সোহাগ মিয়া, লায়ন মিয়া, টিপু মিয়া, রুবেল মিয়া, মফি সেলিম, মোশতাক আহমদ।
মামলার আসামীরা কাজলশাহ ও ভাতালিয়া এলাকার বাসিন্দা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় কাজলশাহ মধুশহীদ জামে মসজিদের বিপরীতে ইসকন মন্দিরে ‘ভক্তবেদান্ত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস কম্পিটিশন’ এর বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা চলছিল। মন্দিরের ভেতর থেকে তখন গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজের কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুসল্লিরা। জুম্মার নামাজের পর মসজিদের মুসল্লিরা সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে ইসকন মন্দির লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ ২০ জন আহত হন।