সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: মুক্তিযুদ্ধকালে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দন্ডাদেশ কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দল। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে। জনগণের প্রত্যাশিত রায় জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর আজ রোববার দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১০টা ৩৫মিনিটে গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করার হয়।
একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ আগামীকাল সোমবার জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতালকে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ও আদালত অবমাননার শামিল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ রায় কার্যকর হওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এটা জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। এ রায় কার্যকরের মাধ্যমে শহীদদের আত্মা শান্তি পেয়েছে।
জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আদালত অবমাননার শামিল। তবে এখন আর দেশের মানুষ হরতাল মানে না ও পালনও করে না। মানুষ চায় দেশের উন্নয়ন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। দেশবাসী এ বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চায়। মীর কাসেম আলীর বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো।
তিনি বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা, এ সরকারের অধীনেই সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার পর্যায়ক্রমে শেষ হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে। এর মধ্য দিয়ে জাতি যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে দেশ এগিয়ে যাবে।