সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: বিকেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য তার পরিবারকে কাশিমপুর কারাগারে যাওয়ার জন্য বলেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কারাগার-২ এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রাখা হয়েছে মীর কাসেমকে। মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া বলেন, ‘আমাদেরকে বিকাল সাড়ে ৩টায় কারাগারে যেতে বলা হয়েছে।’ তবে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজী হননি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতকার করতে যাচ্ছেন।
রিভউ খারিজ হওয়ার পর গত ৩১ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে পরিবারের সদস্যরা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত কাসেম শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। ফলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে কোথায় তা কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি। তাবে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দণ্ড কার্যকরে তাদের সব প্রস্তুতিই রয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘সরকারি আদেশ বাস্তাবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই প্রস্তুত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ীই রায় কার্যকর করা হবে।’ ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে প্রাথমিক মহড়া দেওয়ার পাশাপাশি সব প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে বলে কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান।
জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য মীর কাসেম আলীকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন। আপিল বিভাগ ৩০ আগস্ট রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে তার মৃত্যুদণ্ডই বহাল থাকে।
এরআগে একই অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।