• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রংপুর জেলার পর্যটন অঞ্চল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: ভিন্নজগতের আকর্ষণ: বেসরকারিভাবে প্রায় ১শ’ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই বিনোদন কেন্দ্রটি সারাক্ষণ নানা জাতের পাখির কোলাহলে মুখরিত থাকে। এর গাছে গাছে দেখা যায় নানান প্রজাতির পাখি। সন্ধ্যা হলেই তারা তাদের নীড়ে ফিরে আসে। ভিন্নজগতে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজারও বৃক্ষ। এখানে দর্শনার্থীরা গাছের ছায়ায় সারাটা দিন ঘুরে বেড়াতে পারেন। ভিন্নজগতের প্রধান ফটক পার হলেই তিন দিকের বিশাল লেক ঘেরা নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা শেষ হলেই সামনে পড়বে লোহার ১টি ব্রিজ। ব্রিজটি পার হলেই ভিন্নজগতের ভেতর যেন আরেকটি ভিন্নজগত।
এখানে রয়েছে আধুনিক বিশ্বের বিস্ময় এবং দেশের প্রথম প্লানেটোরিয়াম। রয়েছে রোবট স্ক্রিল জোন, স্পেস জার্নি, জল তরঙ্গ, সি প্যারাডাইস, আজব গুহা, নৌকা ভ্রমণ, শাপলা চত্বর, বীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্য, ওয়াক ওয়ে, থ্রিডি মুভি, ফ্লাই হেলিকপ্টার, মেরি গো রাউন্ড, লেক ড্রাইভ, সুইমিং পুল স্পিনিং হেড, মাছ ধরার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে অন্তত ৫শ’টি পৃথক দলের পিকনিক করার ব্যবস্থা। শুধু ভেতরেই রয়েছে অন্তত ৮/৯শ’ গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। কটেজ রয়েছে ৭টি। রয়েছে থ্রি স্টার মডেলের ড্রিম প্যালেস।
এখানকার জলাশয়ে রয়েছে নৌভ্রমণের সুবিধা। শিশুদের জন্য রয়েছে ক্যাঙ্গারু, হাতি, ঘোড়াসহ নানা জীবজন্তুর মূর্তি।
ভিন্নজগতের জলাশয়ের চারধার জুড়ে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে রোপিত  নানা জাতের শোভাবর্ধনকারী গাছ।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন, বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে।
বগুড়া থেকে ভিন্নজগতে বেড়াতে আসা দম্পতি ফারহানা কবীর ও আহসান কবীর জানান, উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ে এই বিনোদন কেন্দ্রে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব কিছুই সুন্দর। ভিন্নজগতে থাকা-খাওয়ারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। একই কথা জানান, পঞ্চগড়, নাটোর থেকে আসা অনেকেই।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ভিন্নজগতে রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
এ ব্যাপারে ভিন্নজগতের মালিক মোস্তফা কামাল জানান, ভিন্নজগত উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র।
তিনি বলেন, এখানে যারা বেড়াতে আসেন তাদের নিরাপত্তার দায়দায়িত্ব এখানে যারা কর্মরত আছেন তাদের।
প্রবেশ মূল্য: ভিন্নজগতের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এছাড়া ভেতরের প্রতিটি রাইডের জন্য আলাদা করে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।

থাকা-খাওয়া: রংপুরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে। এখানে থ্রি স্টারসহ বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক হোটেল রয়েছে। ভাড়া ৩শ’ থেকে ৫ হাজার টাকার পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে ভিন্নজগতের মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘‘দর্শনার্থীদের থাকার জন্য ১টি প্যালেস রয়েছে, যার কক্ষগুলো অত্যাধুনিক। এখানে রাত্রি যাপন ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।’’
দাম সম্পর্কে তিনি জানান, মৌসুমের চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নেওয়া হয়ে থাকে।

কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:

কেরামতিয়া মসজিদ সম্পর্কে  আলোচনার আগে যার নামের  সঙ্গে  এ মসজিদটির  সর্ম্পক একামত্মভাবে জড়িত তাঁর সর্ম্পকে একটু আলোকপাত করা প্রয়োজন।

১৮০০০-১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে  ইসলামি সংস্কার আন্দোলনের সর্বাপেক্ষা  সফলকাম  ব্যক্তি  ও গৌরবান্বিত ব্যক্তি মাওলানা কেরামত আলী (রাঃ) জৈনপুওে ১২১৫ হিজরী ১৮ মহরম জন্মগ্রহণ করেন। সারা জীবন তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য আত্মনিয়োগ করেন। রংপুরে তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন এবং কেরামতিয়া মসজিদে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

উলিস্নখিত মসজিদটি আয়তাকার । এর আভ্যমত্মরীন পরিমাপ৪২র্-০র্র্*১৩র্-০র্।এর পূর্ব ও পশ্চিম দেওয়ালের প্রসত্মতা ৩র্-৩র্  এবং উত্তর ও  দক্ষিন দিকের দেওয়ালের প্রশসত্মতা ২র্-১০র্।সম্ভবতঃ আধুনিকায়ন ও সংস্কার হেতু পরিমাপের  ক্ষেত্রে  কিছুটা বৈসাদৃশ্য  পরিলক্ষিত  হয়।সমতল ভূমি হতে মসজিদের উচ্চতা ১৮র্ -০র্।

মসজিদটির  তিনটি (উঁচু) গোলাকার গম্বুজ বিশিষ্ট। গম্বুজগুলো অষ্টকোণী ড্রামের উপর ভর করে নির্মিত। প্রতিটি গম্বুজের  নিমণাংশে মারলন অলংকরণ রয়েছে এবং গম্বুজের মধ্যবর্তী স্থানে প্রস্ফুটিত পদ্মফুলের উপওে কলসমোটিফ ফিনিয়াল বা চূড়া স্থাপিত দেখা যায়।

মসজিদটির প্রতিটি কোণে অষ্টভূজাকৃতি সত্মম্ব রয়েছে যার শীর্ষদেশে শোভা পাচ্ছে কিউপলা। এছাড়াও নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে বিভিন্ন খিলনাকৃতি ও প্যানেলের অলংকরণের পাশাপাশি ব্যান্ডের উপস্থিতিও লÿ্য করা যায়। এছাড়াও মিহরাব,খিলান ও প্রধান প্রবেশদ্বারের উভয় পাশে অষ্টকোণাকৃতি সত্মম্ভেও সন্নিবেশ দেখা যায় যার শীর্ষদেশে কিউপলা স্থাপিত রয়েছে। অপরদিকে উভয় খিলানের এবং পূর্বদিকের অপর দু’প্রবেশদ্বারের ও উলেস্নখিত দরজার (উত্তর ও দক্ষিনে কোণে অবস্থিত) উভয়দিকে  ক্ষীন সত্মম্ভ (বিলা্ষ্টার) মূল দেওয়ালের সাথে যুক্ত দেখা যায়।এ সত্মম্ভগুলোর শীর্ষদেশ একামত্মাজ পত্র পলস্নব দ্বারা সুশোভিত এবং নিমণাংশও কলসাকৃতি প্রকৃতির ।

এ মসজিদেও প্যারাপেট বা ছাদের  কিনারায় মারলন অলংকরণ লব্য করা যায়। প্রধান প্রবেশদ্বারগুলো চতুকৌণিক খিলনাকৃতি এবং প্রতিটি প্রবেশদ্বারের উভয় দিকেও পিলাষ্টারের সন্নিবেশ রয়েছে।

প্রতিটি প্রবেশদ্বাওে মিহরাব ও খিলানের আভ্যমত্মরীণ উদগত অংশের  (ফ্রেনটনের)উপরিভাগে মারলন অলংকরণের সাথে লতাপাতা জড়ানো ফুলের নকশা দ্বারা সুশোভিত করা হয়েছে । এ মসজিদেও উত্তর ও দক্ষিনদেওয়ালে অবস্থিত কথিত দরজার কাঠামো পরিলক্ষিত  হয়। সম্ভবতঃ এগুলো আলো বাতাস প্রবেশ ও বেরম্নবার জন্যই পথ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয় । এ দরজার কাঠামেগুলোর কিয়দংশ মসজিদেও মূল দেওয়ালের বর্ধিত আভ্যমত্মরীণ উভয় ক্ষেত্রে  উদগত দেখা যায় এবং শীর্ষদেশে মারলন অলংকরণ  লক্ষে করা যায়।

এ মসজিদের প্রতিটি গোলাকার গম্বুজের (আভ্যমত্মরীণ) নিচে সারিবদ্ধভাবে মারলন অলংকরণ দেখা যায় এবং গম্বুজগুলো স্কুইন্স ও পেনডেনটিভ (ঝুলমত্ম) খিলানের আর্চের উপর ভর করে সুকৌশলে নির্মাণ করা হয়।

মিহরাবের  বহির্কাঠামোর উপরে মারলন অলংকরণ এবং তার উভয়দিকে স্থাপিত অষ্টকোণাকৃতি সত্মম্ভগুলোর নিমণাংশও কলসাকৃতির । এ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো মুঘল স্থাপত্যশৈলীকেই স্মরণ করিয়ে দেয় । মসজিদগাত্রে কোন শিলালিপি ছিল না বলে জানা যায়। ফলে সঠিক নির্মাণকাল অজ্ঞাত থেকেই যায়।

কিভাবে যাওয়া যায়:

ঢাকার মহাখালী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর এবং গাবতলী থেকে রংপুরগামী বেশ কয়েকটি বিলাস বহুল এসি ও নন এসি বাস রয়েছে। এসব বাসের ভাড়া ৫শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টায় রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রংপুরে ট্রেন ভাড়া ২শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। ঢাকা থেকে রংপুর আসতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। ট্রেনে লাগবে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। রংপুর থেকে সরাসরি ভিন্নজগতে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাইভেটকারের ভাড়া ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং মাইক্রোবাসের ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা।

টাউন হল

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:

দেশের দশম সিটি কর্পোরেশন রংপুরের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী রংপুর টাউন হল। এটি শুধু একটি অডিটোরিয়াম বা হল নয় অনেক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সামাজিক গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের সূতিকাগার। রংপুর অঞ্চলের সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র এই টাউন হল থেকেই অনেক ক্ষণজন্মা পুরোধা ব্যক্তিত্ব বাঙালী সংস্কৃতির মুক্ত চিন্তার পথ দেখিয়েছেন। বহু সামাজিক, রাজনৈতিক সংস্কারের সাক্ষী রংপুর টাউন হল।
রংপুরের অনেক স্থাপনার সাথে মিশে রয়েছে কাকিনার রাজা মহিমা মহিমা রঞ্জন রায়ের নাম। নিজের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব বেশী না থাকলেও তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। শিক্ষার প্রতি অগাধ ভালবাসা থেকে অনগ্রসর বাঙালিকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরীর জন্য জমি দান করেন তিনি। এখনো রংপুর টাউন হল, কৈলাশরঞ্জন স্কুল, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী তারি মহিমার গৌরব গাথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই অঞ্চলের নাট্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিকাশের জন্য ১৮৮৫ সালে তৎকালীন রঙ্গপুর নাট্য সমাজ (রংপুর ড্রামাটিক এ্যাসোসিয়েশন বা আর.ডি.এ) একটি রঙ্গ মঞ্চ বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন কাকিনার রাজা মহিমা রঞ্জন রায়। ১৮৯১ সালে রংপুরের উৎসাহিত নাট্য সমাজকে একটি রঙ্গশালা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ১০ বিঘা ৩ কাঠা জমি ইংরেজ সরকারের বরাবরে লিখে দেন। ১৮৯৬ সালে সেক্রেটারি অফ স্টেট ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ও রংপুর নাট্য সমাজের মধ্যে যে দলিল সম্পাদিত হয়, সেই দলিল অনুযায়ী রংপুর নাট্য সমাজ তা মালিকানার অধিকারী হয়।
জমির মালিকানা লাভের পর প্রথমে এখানে একটি চালা ঘরে নাট্য চর্চার শুরু হয়। সূচনালগ্নে এর নাম ছিল “রংপুর নাট্য সমাজ গৃহ”। এই রঙ্গ মঞ্চে প্রথম নাটক হিসেবে মঞ্চস্থ হয় মধুসূদন দত্তের “শর্মিষ্ঠা”। টাউন হল ক্যাম্পাসেই রয়েছে অবিভক্ত ভারতের অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেরিগুলির একটি রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী। যা স্থাপিত হয়েছিল ১৮৫৪ সালে। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরীকে কেন্দ্র করেই লাইব্রেরী ভবনের একাংশে প্রতিষ্ঠিত হয় রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদ যা কলকাতার বাইরে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম শাখা। পাশেই রয়েছে স্থপতি তাজ উদ্দিন চৌধুরীর ডিজাইনে করা আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর অপূর্ব নিদর্শন রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ৭০’র দশকের শেষভাগে এই শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রংপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ শংকু সমজদারের মা দীপালী সমজদার।
রংপুর টাউন হল শুধু আনন্দ, চিত্ত বিনোদন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূতিকাগার নয়। অনেক বেদনা ও কষ্টের মিশে আছে এর সাথে । হলের ইট পাথরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে ৭১ এর স্মৃতি গাথা। বীরাঙ্গনাদের আর্ত চিৎকার, গুমোট চাপা কান্না। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় এই টাউন হলকে বানিয়েছিল ‘নারী নির্যাতন’ কেন্দ্র। যুদ্ধের বিভীষিকায় অসংখ্য নারী এখানে সম্ভ্রম হারিয়েছে, অনেক মুক্তিকামী মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়েছে। আর সেই বিভীষিকাময় দিনের স্মৃতি ধারণ করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে রংপুর টাউন হল।

কিভাবে যাওয়া যায়:

ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবহন হলো গ্রীন লাইন এবং টি আর ট্রাভেলস। এছাড়া এ রুটে আগমনী পরিবহন, এস আর, শ্যামলী, হানিফ, কেয়া ইত্যাদি পরিবহনের সাধারণ বাস চলাচল করে। ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ছাড়ে এসব বাস।

রংপুর চিড়িয়াখানা

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:

রংপুর জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনোদন কেন্দ্র এই চিড়িয়াখানা। ক্লান্তবির্পযস্তও বিষন্ন মনকে সতেজ করতে এবং অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার সৌন্দর্য পিপাসু ও ভ্রমণ বিলাসীগণ বেড়াতে আসেন এই চিড়িয়াখানায়। রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা। এই বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় রয়েছে ২৬ প্রজাতির জীবজন্তু ও পাখুপাখালী। উলেস্নখযোগ্য সিংহ ,রয়েল বেঙ্গল টাইগার ,চিতা বাঘ, জলহসত্মী,হায়েনা, ভালুক, বানর, বেবুন, হরিণ, ময়না ,টিয়া ,ঈগল, শকুন, সারস ,বক,ঘড়িয়াল,অজগর সাপ প্রভৃতি।

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বনজ, ফলজ এবং ঔষুধি গাছের মনোলোভা সারি। রয়েছে নয়ানাভিরাম লেক ও শিশুপার্ক।

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা মোট ২২ দশমিক ১৭ একর জমির উপর অবস্থিত ।১কোটি ৮০ লাখা ১ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৯৮৮ সালের ১৪ আগস্টে এর নির্মাণ কাজশুরুহয় এবং ১৯৯৯ সালের জুন মাসে এর নির্মাণ কার্যক্রম শেষ হয়। জনসাধারণের জন্য এটি উম্মুক্ত  করে দেয়া হয় ১৯৯১ সালের ১৪ই জুন। এই চিড়িয়াখানা দেখা-শুনার জন্য রয়েছেন একজন ডেপুটি কিউরেটর এবং একজন জু অফিসার সহ ১৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

তথ্যসূত্র : জেলা তথ্যবাতায়ন