স্টাফ রিপোর্টার : কোম্পানীগঞ্জে ডাকাতি মামলায় ২ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর ৭ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের পাশাপাশি তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মোঃ মফিজুর রহমান ভূঞা এ রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- কোম্পানীগঞ্জ থানার গৌরীনগর গ্রামের মৃত আলম উল্ল্যার পুত্র দুদু মিয়া (২৮) ও একই এলাকার মৃত শুকুর উল্ল্যার পুত্র কালা মিয়া। খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জের আজাদ মিয়া (২৫), ইসমাইল (৩০), সোলেমান (২০), জামাল (৩৫), রফিক (৩৪), বিরাশ মিয়া (২৯) এবং বাবুল মিয়া (২৭)। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী দুদু ও কালা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাত আড়াই টার দিকে ৮/৯ জনের একদল সশ্রস্ত্র ডাকাতদল কোম্পানীগঞ্জের গৌরীনগর গ্রামের মোঃ রুবেল আহমেদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা রুবেল আহমেদসহ তার পরিবারের লোকজনকে হাত-পা বেঁধে ঘরের আলমীরা, সকেস ও বিছানার নিচ থেকে নগদ ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি দামী মোবাইলফোন সেটসহ ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ রুবেল আহমেদের বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। নং- ১৮ (২২-০৯-১১)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে আদালতে এ মামলা বিচারকার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী দুদু মিয়া ও কালা মিয়াকে দি পেনাল কোড-এর ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় তাদেরকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মোঃ আব্দুস ছুবহান মামলাটি পরিচালনা করেন।