স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার বিমানবন্দর থানার দরিদ্র ১৭ বছরের কিশোরী ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মামলা দায়েরের দেড় মাস পরও পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে নির্যাতিতার পরিবার।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি জানায় সিলেট সদর উপজেলার বিমানবন্দর থানার পীরেরগাঁওয়ের নির্যাতিতা কিশোরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্যাতিতা উল্লেখ করেন- গত রমজান মাসের ৪ তারিখ (১০ জুন) তিন হাজার টাকা মাসিক বেতনে নগরীর মিরাপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। ওই বাসায় হোসেন তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। কাজে যোগদানের পর গৃহকর্তা হোসেন তাকে নানা ধরণের প্রলোভন দিয়ে কু প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সালেহা গৃহকত্রীকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলেন এবং স্বামীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে কুপ্রস্তাব দিতে বারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরদিন ৫ রমজান রাতে সেহরীর রান্না শেষ করে ঘুমাতে গেলে অস্ত্রের ভয় ও অন্যান্য ভয় দেখিয়ে গৃহকর্তা হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় হোসেনে সহযোগি মিরাপাড়ার হিরা মিয়ার ছেলে ফজলূ মিয়াও তাকে ধর্ষণ করে। সেহরীর সময় নির্যাতনকারী হোসেনের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে তিনি রাগান্বিত হয়ে গৃহকর্মী কিশোরীকে গালিগালাজ করেন। পরদিন কিশোরী বাসা ছেড়ে দিতে চাইলে তাকে আটকে রাখা হয়। সন্ধ্যায় বাসার একটি কক্ষে কিশোরীকে আটকে রেখে হোসেন, ফজলূ ও তাদের অপর সহযোগি মোগলাবাজারের সিলাম মোহাম্মদপুর গ্রামের আনফর আলীর ছেলে জুবেল মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেহরীর পর বাসার সকলে ঘুমিয়ে পড়লে নির্যাতিতা পালিয়ে নিজের বাড়িতে যান।
বাড়িতে পিতামাতার কাছে ঘটনার বর্ণনা দিলে বিষয়টি জানতে মিরাপাড়ায় হোসেনের বাসায় গেলে ধর্ষণকারীরা গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। পরে নির্যাতিতার ছোটভাই ওসিসিতে তাকে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতা বাদী হয়ে শাহপরান (র.) থানায় এজাহার জমা দিলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ২৩ জুন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ জুলাই পুলিশ মামলা রেকর্ড করে। কিন্তু অদ্যাবদি মামলার কোনো আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নির্যাতিতার মা সমছুন্নেছা, ভাই দিলাল আহমদ, চাচাতো ভাই আলী আহমদ প্রমুখ।