পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষই জন্মগ্রহণ করে নিজস্ব কিছু ব্যক্তি সত্তার অধিকারী হয়ে, যেখানে প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট থাকে ৷ প্রত্যেক মানুষেরই ইচ্ছা, অনুভূতি, ক্ষোভ, লোভ, প্রতিহিংসা প্রকাশভঙ্গির প্রকারে ও কিছু না কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়, আর অনেক ক্ষেত্রেতো তা একেবারেই আলাদা ৷ বর্তমান ডিজিটাল এই যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করে ও মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অনেকের চারিত্রিক বিভিন্ন গুণাবলীর অনেক খুঁটিনাটি বিষয় ও জানতে পারে, আর আমাদের গ্রামের মতো ছুট্ট একটি গ্রামে আমরা যারা একসাথে বড় হয়েছি, একসাথে খেলাধুলা করেছি, দীর্ঘদিন পরস্পরকে জেনেছি, তাদের মধ্যে কার কোন ক্ষেত্রে কতটা দক্ষতা রয়েছে কে কোন বিষয়ে কতটা পারদর্শী সে বিষয়ে মোটামুটি একটি ধারণা বোধ হয় কারোরই না থাকার কথা নয়৷ তাই লিখতে বসে যে বিষয়ের বিপরীতে লিখতে চাই লিখার জন্য ঐ বিষয়টি মনের মধ্যে কোনো ক্ষোভের বা স্পৃহার সঞ্চার করে না, বরং এক চিলতে হাসি এসে মনের কোনে ভিড় করে,- আর মনকে জানিয়ে যায় চিনতে শিখো” অপাঙক্তেয়”।
দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাধে আমিতো বটেই বরং সংশ্লিষ্ট লেখকদের চিনেন জানেন এমন সকলেই আশা করি একমত হবেন যে,- যে ক্ষোভ, যে প্রতিহিংসায় তাদের মাধ্যমে যে বক্তব্যগুলো উপস্থাপিত হয়েছে, তা তাদের কর্তৃক উপস্থাপিত হওয়ার তাদের এই গুনের কথাটি প্রায় সকলেরই অপরিচিত ৷ বরং এ বিষয়ে কারোরই সন্দেহের অবকাশ নেই যে, তাদের কাঁধে ভর করে ইহা যে নেপথ্যচারী কেউ বা কারোর মনের যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ৷
হরানোর বেদনা, ব্যর্থতার ক্ষোভ আর প্রতিহিংসার জ্বালায় কে কতো দগ্ধ আমাদের মানসপটে ঐ ছবিগুলি বড়ই পরিষ্কার, তাই কার দ্বারা যে কি সংঘটিত হওয়া সম্ভব তা অনুমেয় হওয়া একেবারেই কঠিন কিছু নয়।
যৌথভাবে সাধারণত বিবৃতি বা বিজ্ঞপ্তি হয়ে থাকে, কিন্তু একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ যার লেখক একাধিক ব্যক্তি মনে অনেকটাই খটকার সৃষ্টি করে তা কি করে সম্ভব ৷ কারণ প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষোভের ধরণ, প্রকাশ ভঙ্গি, বাক্যচয়ন এমনকি লেখার গুনের মানের ক্ষেত্রে ও ভিন্নতা থাকে ৷ কোনো একটি বক্তব্যের সাথে সম্মতি থাকতে পারে একাধিকজনের, কিন্তু লেখক সে-ই যিনি লিখেছেন, হতে পারে নামোল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ নয়তো বাইরের কেউ ৷ যে লিখায় কারো ছবি প্রতিস্থাপিত করা হয়। তাহার অর্থ হলো, ছবির ব্যক্তিটি হলেন ঐ লেখার মালিক অর্থাৎ তিনি হলেন এর লেখক (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) ৷ নিজে না লিখে অন্যের লেখায় নিজের ছবি প্রতিস্থাপন করা এটা পাঠকের সাথে প্রতারণা, আর সামান্যতম লজ্জাবোধ যার রয়েছে এমন গর্হিত কাজ তার দ্বারা সম্ভব নয়।
বিবেকবান মানুষ আশাকরি এই বিষয়টি স্বীকার করবেন যে, কেউ যখন কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতা খুঁজে আর তাতে আঘাত করে প্রতিপক্ষ ঘায়েলের চেষ্টা করে, এর অর্থ হলো স্বাভাবিকভাবে ঐ ব্যক্তি তার প্রতিপক্ষের সাথে যুক্তিতে, তর্কে, বুদ্ধিতে পেরে উঠেনি তাই উপায়ান্তর না পেয়ে প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক দুর্বলতা খুঁজে এবং তাতে আঘাত করে জিতবার শেষ চেষ্টা করে,যা প্রকারান্তরে ইহাই প্রমান করে যে উক্ত ব্যক্তি সে তার নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছে ৷
কে কার মা বাবা, ভাই বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে পারলো কি পারলো না এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয়৷ সভ্য এই দেশে বসবাস করে কেউ যখন গণমাধ্যমে কারো ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করে কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের কাছে অপমানিত করার লক্ষে পারিবারিক মানমর্যাদা আঘাত করবার হীন চেষ্টায় মগ্ন হয় তাতে ঐ ব্যক্তি বা পরিবারের সামান্যতম মানহানিতো দূরে থাক বরং
সচেতন মহলে এতে তার নিজের ঘৃণ্য রুচিবোধের যেমন প্রকাশ পায় তেমনি তার চারিত্রিক চরম দৈন্যতার ও বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৷
আমি ট্রাস্টের কোনো পদবীর অধিকারী নই, একজন সাধারণ সদস্য হিসাবেই আমি আমার গত লেখাটি লিখেছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস করি ট্রাস্টের যেকোনো সদস্য যার লিখবার সামর্থ আছে, সত্য উদঘাটনের প্রয়োজনে তার লিখবার অধিকার রয়েছে ৷ যে কেউ লিখতে পারেন যদি লেখার প্রয়োজন মনে করেন, তবে কেন দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যিনি দীর্ঘ এই লেখাটি লিখলেন, তার এতো কষ্টের সৃষ্টিতে তিনি তার নিজের নামটি ব্যবহার করতে কিসের এতো ভয়। কারো প্রতি নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অন্যের কাঁধে ভর করবার কেন এই লুকোচুরি ৷
শুরু করতে চাই একটু অন্য ভাবে, সুশিক্ষিত মানে সকল ভালো গুনের সমাহার, অর্থাৎ একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যিনি তার অর্জিত শিক্ষায় পরিপূর্ণ গুনের অধিকারী, তাছাড়া আরো যত পারিপার্শিক ভালো গুন থাকা দরকার তার সবই তার মধ্যে রয়েছে এমন কাউকেই সাধারণত সুশিক্ষিত বলে ৷ আমি সংশ্লিষ্ট সুশিক্ষিতদের একেবারে শুরুর দিকের একটি লাইন দিয়ে শুরু করতে চাই ৷ লাইনটির প্রয়োজনীয় অংশ হলো,-” জনৈক ব্যক্তির সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আত্মপ্রচারের বিরুদ্ধে…”
জনৈক শব্দের অর্থ হলো অনির্দিষ্ট কোনো একজন ব্যক্তি যার সম্মন্ধে কোনো ধারণা নেই, যিনি একেবারেই অপরিচিত কেউ ৷ আরেকটু পরিষ্কার করে বললে যেমন আমি কোনো একজন ব্যক্তি সম্মন্ধে কিছু বলতে চাচ্ছি যার দ্বারা যে কোনো একটি কার্য সংগঠিত হয়েছে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত কিন্তু কে ঐ ব্যক্তি আমি তার সম্মন্ধে নির্দিষ্ট করে কিছুই জানিনা, এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝাতে সাধারণত জনৈক শব্দের ব্যবহার হয়।
এই লেখার লেখকেরা যার সম্মন্ধে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন তারা তাকে শুধু চিনেনই না এ ও জানেন যে এই ব্যক্তিটি শিক্ষিত কিন্তু সুশিক্ষিত নয় আর এতেই বুঝা গেলো এই ব্যক্তিটি তাদের জন্য অনির্দিষ্ট কেউতো নয়ই বরং তার সম্মন্ধে তাদের জানার মাত্রা কতো প্রগাঢ়, আর তাতেই প্রমাণিত হয় উক্ত ব্যক্তিটি তাদের জন্য অপরিচিত বা অনির্দিষ্ট কেউ নয়।
আত্মপ্রচার শব্দের অর্থ হলো নিজের প্রচার, ট্রাস্ট সম্মন্ধে আমার গত লেখাটিকে আত্মপ্রচার বলে অভিহিত করা হয়েছে ৷ যে লেখায় কোনো ব্যক্তি নিজের গুনাবলি এবং নিজেকে প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বিষয়ক বিষয়ের অবতারণা করেন সাধারণত এমন লেখাকে আত্মপ্রচারমূলক লেখা বলা হয় ৷ আমার গত লেখাটিতে এ জাতীয় ব্যক্তি বিষয়ক আলোচনার কোনো লেশমাত্র ও ছিলনা, যে কারো যাচাইয়ের জন্যে লেখাটি অপরিবর্তিত অবস্থায় আজ ও বিদ্যমান আছে ৷
সম্মানিত পাঠক, “প্রসঙ্গ জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে” এই লেখাটিতে আমি যা করেছিলাম তা ছিল – সত্য গোপন করে যে বা যারা নিজের কাজকর্ম বাদ দিয়ে সারা দিন রাত ট্রাস্টের সরলপ্রাণ সদস্যগুলোকে নিজের দলে ভিড়ানোর জন্য মিথ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি হিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে হীন চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন, আমি আমার লেখার মাধ্যমে অস্পষ্ট বিষয় গুলিকে যুক্তি দিয়ে পরিস্কার করে তাদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছিলাম ৷ তাই মাথা নষ্ট হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, তাই বলে এতো সুশিক্ষিত ব্যক্তিরা কোথায় কোন শব্দ ব্যবহার করতে হবে, কোন লেখা কোন বৈশিষ্টের কারণে কি জাতীয় লেখা হয় এমন প্রাথমিক বিষয়গুলো সম্বন্ধেও যথাযথ জ্ঞানের অভাবে ভুগেন ভাবতে বড়ই অবাক লাগে ৷
আমি এখানে কেবল সুশিক্ষিত লেখকেরা যে লাইন দিয়েছে মূল বক্তব্যের শুরু করেছিলেন এই একটি লাইন থেকে দুটো শব্দের প্রয়োগ নিয়ে সামান্য আলোচনা করলাম ৷ সারা লেখা জুড়ে এমন আরো অসংখ্য অসঙ্গতি আছে যে গুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অন্য মূল আলোচনায় যাওয়া অসম্ভব, তাই আজকে এগুলো নাহয় বাদ-ই দিলাম ৷ এই বিষয় গুলো নিয়েছে আলোচনা করতে আমার ও বিবেকে বাঁধছিল কিন্তু তারপর ও কেনজানি এগিয়ে যেতে পারলাম না, কারণ যত্রতত্র যাচ্ছেতাই উল্টাপাল্টা শব্দ ব্যবহার করে যারা ভালো করে মনের ভাব প্রকাশ করতেই হিমশিম খায়, বাংলা ভাষায় এমন অপ্রতুল আর সীমাবদ্ধ জ্ঞানভাণ্ডার নিয়ে তারাই যখন সংবিধানের মতো কঠিন কোন বিষয়ের রচয়িতা হতে চায়,- তখন পরিতাপ করা ছাড়া আর কি-ইবা করার থাকে ৷ এবার আসা যাক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য কিছু বক্তব্যের উত্তর প্রসঙ্গে,-
ট্রাস্টের প্রথম সভায় মনোনীত তিনজন ব্যক্তি যাদেরকে ট্রাস্টের নামে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা একাউন্ট করার উদ্দেশ্যে ওল্ডহামে মিলিত হওয়ার একটি তারিখ নির্ধারণ করেন যা আমার বা আমাদের জানা ছিলনা, ট্রাস্টের একজন সদস্য কর্তৃক আমি ইহা ফোনে অবগত হই ৷ তিনি জানান ওই দিন উল্লেখিত ব্যক্তিরা তিনির ঘরে দুপুরে লাঞ্চ করবেন এই উপলক্ষে তিনি আমাকে, ওল্ডহামে থাকেন আরো একজন সদস্য তিনিকে এবং লীডস এ থাকেন ট্রাস্টের আরেকজন সদস্য তাকে তিনির ঘরে দুপুরে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেন, এরই সূত্র ধরে ওই দিন আমরা সবাই উক্ত সদস্যের ঘরে মিলিত হই ৷
নির্ধারিত ওই দিন সকালে মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন সদস্য একাউন্ট খোলার আগে আমাকে ফোন করে ট্রাস্টের নাম ঊীধপঃষু কিভাবে লিখা হবে এই বিষয়ে আমার পরামর্শ জানতে চান, আমি এই বিষয়ে আমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে ট্রাস্টের নাম “জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে ” লেখার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করি ৷ উক্ত সদস্য আমার যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেন এবং হবিবপুর শব্দটি পিছনে লেখার বিষয়ে একজন সদস্যের দ্বিমতের কথা ও আমাকে অবহিত করেন ৷ ঘন্টাখানেক পরে আমার প্রস্তাব অনুযায়ী নাম লিখার বিষয়ে সকলের ঐক্যমতের বিষয়টি তিনি আমাকে অবগত করেন ৷ একাউন্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর আমরা সবাই দুপুরে খাওয়ার জন্য একসাথে মিলিত হই ৷
সংশ্লিষ্ট এই লেখাতে উল্লেখিত সম্পূর্ণ বিষয়টিকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ” একই শহরে বসবাসের সুবাদে জনৈক ব্যক্তি হিসাব রক্ষকদের সাথে মিলিত হয়েছে মত প্রকাশ করেছেন হবিবপুর শব্দটি সংগঠনের নামের প্রথমে থাকলে তিনি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকবেন না “, অর্থাৎ ওই দিন আমার উপস্থিতিকে উপযাজক হিসাবে চিহ্নিত করে আমার অবস্থানকে হেয় করবার চেষ্টা করা হয়েছে, যা কেবল বিকৃতই নয় চরম সংকীর্ণ মানসিকতার ও পরিচালক ৷ কারণ একাউন্ট খোলার আগে নামের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট একাউন্ট হোল্ডারের সংগে আমার যা কথাবার্তা তা ফোনেই হয়েছে, সাক্ষাতে কারো সাথেই এই বিষয়ে কোনো কথা হয়নি এবং কথা বলার কোনো অবকাশ ও ছিল না কারণ বিষয়টি ফোনেই মীমাংসিত হয়ে গিয়েছিল ৷ তাছাড়া একই শহরের বাইরের সদস্য ও ঐ দিন ঐ দাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন, তাই একই শহরে বসবাসের সুবাদে ঐ দিন সংশ্লিষ্ট সদস্যের ঘরে মিলিত হয়েছিলাম কথাটি ডাহা মিথ্যা এবং অরুচিকর ৷ আর তা যদি সত্যিই হতো তাহলে একই শহরে ট্রাস্টের আরো অনেক সদস্য বাস করেন তারা কেন সেখানে যেতে পারলেন না, তার কারণ যার ঘরে সেদিন যাওয়া হয়েছিল তিনি যাদেরকে যেতে বলেছিলেন কেবল তাদেরই সেখানে যাওয়ার সুযোগ ছিল ৷
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, কেবল সস্তা আবেগ দিয়ে গ্রামের মানুষকে বিভ্রান্ত করে গ্রামের মানুষের কাছে আমাকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপনের হীন স্বার্থে যে বিষয়টি ঐ দিন আলোচিত হয়নি তা এখানে উপস্থাপিত হলো বড় মমমতা মিশিয়ে, কিন্তু যা ছিল ঐ দিনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা এখানে তার কোনো প্রকাশ ঘটলো না ৷
সম্মানিত পাঠক সংশ্লিষ্ট লেখকদের দ্বারা প্রকাশিত লেখাটি বর্ণনার দিক থেকে এতই বিভ্রান্তিকর যে তার সবকিছুর উত্তর দিতে গেলে লেখার পরিধি যে কত লম্বা হবে তা বলা মুশকিল, তাই উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়ে প্রতি দৃষ্টিপাত করেই লেখাটি শেষ করতে চেষ্টা করবো ৷
ফিরে আসি ঐ দিনের আলোচনায়, খাওয়া শেষ করে আমরা গল্প করছিলাম, আলোচনার এক পর্যায়ে আমাদের একজন একাউন্ট হোল্ডার আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন ট্রাস্টের জন্যতো সংবিধান লেখা দরকার, সংবিধানতো আপনাকেই লিখতে হবে, আপনি সংবিধান লেখা শুরু করে দেন ৷ কথাটি শেষ না হতেই একজন সদস্য রাগে ক্ষোভে বলে উঠলেন, না আমি মানিনা কেউ ব্যক্তিগত ভাবে সংবিধান লিখলে তিনি এটার ক্রেডিট নিয়ে নিবেন ৷ হঠাৎ এমন প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সকলেই হতবাক হলেন, পরক্ষনেই উক্ত একাউন্ট হোল্ডার আমাদের তিনজনের নাম উল্লেখ করে, যেখানে উক্ত ক্ষুব্দ সদস্যের নাম ও রয়েছে এই তিনজনে মিলে সংবিধান লেখার প্রস্তাব করেন, তাতে ও তিনি আপত্তি করেন এবং সময় দিতে না পারার কথা বলেন ৷ তখন এ বিষয়ে করণীয় কি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন বল্টনে অনুষ্টিতব্য সাধারণ সভায় যাকে বা যাদেরকে সংবিধান লেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে সে বা তারাই সংবিধান লিখবেন ৷
তাই সংবিধান লেখাকে কেন্দ্রে করে যেকোনো প্রকার ভুল বুঝাবুঝি এড়াতে সংবিধান লেখার কাজ এগিয়ে রাখার যেকোনো উদ্যোগ থেকে বিরত থাকাকেই শ্রেষ্ট মনে করলাম ৷ বলটন সভার তিন চার দিন আগে জানতে পারলাম যিনি কারো কর্তৃক ব্যক্তিগত ভাবে সংবিধান লেখার চরম বিরুধী ক্রেডিট হাত ছাড়া হবার ভয়ে, উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতায় আরেকজন সদস্যের মাধ্যমে ট্রাস্টের জন্য ইংরেজিতে সংবিধান লেখা হয়েছে এবং ইহা পাশের জন্য তিনি অনেকের সমর্থন চাইতেছেন ৷ আর এর মাধ্যমে যে সংগঠনের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সকলের উদার মানসিকতা আর মনখোলা স্বতঃস্পুর্ততায় সেখানে সংকীর্ণ চিন্তার কিছু লোকদের মাধ্যমে বীজ রূপিত হলো ধ্বংসাত্মক গ্রপিংয়ের ৷
শুরু হলো বল্টনের মিটিং, উপস্থাপিত হলো একটি সংবিধান যা ইংরেজি ভাষায় রচিত, আমরা এর বিরুধিতা করলাম ৷ কারণ ৯০% সদস্য যাদের ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা নেই তাদের দ্বারা ইংরেজি ভাষায় রচিত কোনো সংবিধান পাশ করা সম্ভব নয়, কারণ একটি সংবিধান পাশের আগে ইহাতে উপস্থাপিত প্রত্যেকটি বিষয় ভালো ভাবে বুঝে মতামত দেওয়ার অধিকার সকল সদস্যের রয়েছে, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত হওয়ার কারণে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব নয় ৷ আমরা মিটিং করি বাংলায়, মনের ভাব প্রকাশ করি বাংলায়, বাংলাতেই আমরা বেশি স্বাচ্ছন্ধ বোধ করি ফলে সঙ্গত কারণেই আমাদের সংবিধান বাংলাতেই হওয়া উচিত ৷
এই দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা ইংরেজির গুরুত্ম অস্বীকার করিনা, তাই বাংলায় সংবিধান প্রণীত হওয়ার পর ইহা ইংরেজিতে অনুবাদ হতে আমাদের কারোরই কোনো আপত্তি নেই ৷ তাছাড়া উত্তাপিত সংবিধানকে অনেকেই পড়ঢ়ু, ঢ়ধংঃব বলে ও অভিহিত করেছেন, কারণ এর রচয়িতা নিজেই তার বক্তব্যে বলেছেন অনেকগুলো বিনংরঃব ঘাটাঘাটি করে তিনি এই সংবিধান রচনা করেছেন ৷ আমি নিজে ও এই সংবিধানের বিরুধিতা করি কারণ একতো ইহা ইংরেজিতে ২য়তো আমার মতে আমাদের ট্রাস্ট চলার জন্য যা দরকার তার বেশির ভাগই এই সংবিধানে ছিলনা , যা ছিল তা ও অসম্পূর্ণ ৷
সম্মানিত পাঠক আমার ঘর আমার সংগঠন কিভাবে পরিচালিত হবে তা আমরা সংশ্লিষ্টজনেরাই জানি তা-তো ওয়েবসাইটে থাকার কথা নয়, আর ওয়েবসাইটে সাধারণত বাংলা ভাষায়তো আর কিছু লিখা থাকেনা, থাকে ইংরেজিতে তাই ইংরেজিতে সংবিধান লিখা সহজ ৷ আর এজন্যই ইংরেজিতে সংবিধান লিখার মহান এই প্রয়াস, তাছাড়া ইংরেজিতে সংবিধান লিখার সবচেয়ে বড় যে দুরভিসন্ধি তা হলো, আমি যাকে ক্রেডিট দিতে চাই না সংবিধান লিখার দৌড় থেকে সে অটোমেটিক ভাবেই বাদ পরে যাবে যদি ইহা ইংরেজিতে লিখা যায়, কারণ তারা ভালো করেই জানেন বাংলায় সংবিধান প্রণয়নের ঝুঁকিতে গেলেই ক্রেডিট হাত ছাড়া হবেই হবে ৷ যে যতই প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করুক না কেন প্রত্যেক মানুষের ভিতরে সত্য একটি মানুষ বাস করে যে থাকে সবসময়ই সত্যটাই জানিয়ে দেয়, তাই প্রাণান্তকর চেষ্টা যদি কোনো ভাবে ইংরেজিতে সংবিধান পাশের যুক্তিকে প্রতিষ্টিত করা যায় ৷ মনের ভিতর পোকা ভিড় ভিড় করে, ক্রেডিটের পোকা, মরণ পণ লড়াই ইংরেজি এই সংবিধান পাশ করতেই হবে যেভাবেই হোক, এর ভিতরে কি আছে না আছে দেখার দরকার নেই, দরকার শুধু একটাই অমুককে সংবিধান লিখতে দেওয়া যাবেনা ৷
কারো ব্যক্তিগত হিংসা চরিতার্থ করার জন্য যখন দেখলাম একটি সংগঠনের মূল স্তম্ভ ঐ সংগঠনের সংবিধানকে ফেলনায় পরিণত করে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থ নষ্ট করে দিতে তাদের বিবেকে এতোটুকু ও বাঁধছেনা, তখনই এই অশুভ চক্রান্তকে রুখতে বাধ্য হয়েই আমাকে বলতে হয়েছে, যে সংবিধান এখানে উত্তাপিত হয়েছে তার চেয়ে অনেক গুন ইবঃঃবৎ সংবিধান আমি লিখে দিতে পারব ৷ ফলে সঙ্গত কারণেই সচেতন সদস্যগণ এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে যে ইবঃঃবৎ কিছু দেবার বিষয়ে প্রত্যেয়ী তাকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন ৷ আর এতেই মূলত যবনিকাপাত ঘটে ইংরেজি সংবিধান পাশের সকল সম্ভাবনার ৷
সংশ্লিষ্ট লেখকেরা আমার এই বক্তব্যটিকে খুবই খারাপ চোখে দেখেছেন, দেখারই কথা কারণ আমার এই বক্তব্যের মাধ্যমে আমাকে সংবিধান লিখতে না দেওয়ার তাদের প্রথম ধাপটি ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল ৷
আমার এই বক্তব্যের জন্য তারা আমাকে লালসালু উপন্যাসের মজিদ বানাতে চেয়েছেন, আবার ও একবার হাসতে ইচ্ছা করলো ৷ লালসালু উপন্যাসের মজিদ হলো একজন দাড়িওয়ালা ব্যক্তি, যে কি না পুরোপুরি একজন ভন্ড ৷ আমার দ্বারা যে বক্তব্যটি উপস্থাপিত হয়েছে এখানে কোথাও ভন্ডামীর কোনো চিহ্ন ছিল না, যা ছিল স্পষ্ট এবং একেবারেই জনসম্মুখে ৷ ভন্ড যারা তারা এমন করেনা, তারা যা করে পিছন থেকে করে সবার সম্মুখে সত্য বলবার সাহস ভন্ডের থাকেনা ৷ ভন্ড সে, যে নিজে কিছু না জেনেও জানবার ভান করে মানুষকে প্রতারিত করে ৷ আমি সকলের সম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছিলাম আজ ও সেই বক্তব্যেই অটল আছি আর এমন বক্তব্য প্রদানের জন্য যে হিম্মত, যে আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন যার মধ্যে তা রয়েছে সে-ই কেবল এমন বক্তব্য দিতে পারে ৷ আর এটা ভন্ডামী নয়, এটা নিজের অর্জনের প্রতি তথা নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস ৷
“তাই বলি,- রূপে গুনে মজিদের রূপ ধারণ করিয়া কেউ যখন নিজের বৈশিষ্ট অন্যের উপর ঝাড়িয়া ফেলিয়া অভিশপ্ত এই গুন থেকে মুক্তি পেতে চায়া তা-ও মন্দ কিসে, সবকিছুর পর সে ও যে বুঝিতে পারিয়েছে ইহা ত্যাগ করা উচিত এটা ও অনেক আনন্দের”৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই সংবিধান নিয়ে আমার বিপক্ষে আরো একটি বক্তব্য প্রায়ই উত্তাপিত হয়, আমি নাকি বল্টনের সভায় এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম এবং এটা নিয়ে একটা আবেগজনিত ফায়দা লুটবার চেষ্টা করা হয় ৷ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য মতে সেদিন যদি আমি এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে থাকি আর এটি যদি এতই অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে ঐ দিন যারা ঐ সংবিধানকে সমর্থন করে ইংরেজিতে সংবিধান পাশ হওয়া লাগবে বলেছিলেন, সেই তাদের কর্তৃকইতো আজ তাদের গ্র“পের জন্য একটি সংবিধান গৃহীত হয়েছে, কই ! সেটিতো ইংরেজিতে হয়নি, হয়েছে বাংলায় ৷ যে সংবিধান তাদের কাছে এতই গুরুত্মপূর্ণ ছিল, যেটি ছুয়ে ফেলায় তাদের খুব মনোকষ্টের কারণ হয়েছিল, যা বিরোধী পক্ষের জন্য তারা সেদিন পাশ করতে পারেননি, সেই সংবিধানকে তাদের গ্র“পের জন্য গ্রহণ করতে বা ছুড়ে ফেলা স্থান থেকে তুলে আনতে আজতো তাদের সামনে কোনো বাধা ছিল না, তবে কেন তারা তা করলেন না ৷ কেউ-ই যখন গ্রহণ করলোনা এতেই বুঝা গেলো ইহা গ্রহণ করার মতো কিছুই ছিল না ৷ তাই যদি ইহা ছুড়ে ফেলা হয়েই থাকে, সেদিনের ছুড়ে ফেলা যে কতো যুক্তিযুক্ত ছিল কোনো পক্ষের দ্বারাই ইহা গৃহীত না হয়ে তার যথার্থতাই আজ প্রমাণিত হলো ৷
সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত হলো ৫ সদস্যের বোর্ড কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পাড়ার যন্ত্রনা আর ক্রেডিট হাত ছাড়া হবার ভয় কি আর শান্তিতে বসে থাকতে দেয়, হতাশ আর ক্ষুব্দ সংশ্লিষ্ট এই একই সদস্য আবারো নতুন চাল চাললেন, তার দ্বারা প্রস্তাব উত্তাপিত হলো আজ এই সভায় সিদ্ধান্ত নিতেই হবে,- উত্তাপিত সংবিধানকে মূল ধরেই সংবিধান রচনা করতে হবে ৷ গভীর রাত, ত্যাক্ত বিরক্ত অনেকেই চলে গেছেন, দৃষ্টি কঠু এমন তর্ক চালিয়ে যেতে রুচিতে বাঁধলো, কোনো রকম উটে যেতে পারাকেই মঙ্গল মনে করলাম ৷
কিন্তু মনের মধ্যে তাগিদ উপলব্দি করলাম, কেন উত্তাপিত সংবিধানের বিরুধিতা করেছি ঐ সংবিধানে কি ছিল না, কি থাকার দরকার ছিল অন্তত এই বিষয়গুলু সবাইকে বুঝাবার জন্য আমাকে সংবিধান লিখতেই হবে ৷ এই মিটিং এর পর আমি যে সংবিধান লিখবো এই বিষয়টি অনেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন, তাই আমার লিখা সংবিধান যদি পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হয় আর তা যদি সাধারণ সদস্য কর্তৃক গৃহীত হয়ে যায় এমন একটি ভয় অনেকেরই অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ ফলে আগে থেকেই এর গলা টিপে ধরতে হবে, অনেক নাটক হয়েছে এই সংবিধান লেখা নিয়ে ৷ তাই এই বিষয়ে দীর্ঘ কাহিনী লিখে কারো ধৈর্যচ্যুতির কারণ হতে চাইনা, আর এই বিষয়টি এখন আর খুব একটা গুরুত্ব ও বহন করেনা ৷ তাই কেবল উত্তাপিত বিষয়গুলোতেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই ৷
এবার আসা যাক ট্রাস্টের নামে “হবিবপুর” আগে ও পরে ব্যবহারের ব্যাকরণের আলোচনায়,-
যেকোনো সংগঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে ঐ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টজনেরা সংগঠনের সার্বিক সফলতার লক্ষে এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ের ইতিবাচক, নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে পুংখানুপুংখ পর্যালোচনা করে থাকেন এটাই স্বাভাবিক, আমাদের ট্রাস্টের ক্ষেত্রে ও এর ব্যতিক্রম হয়নি ৷ মূলত আমাদের ট্রাস্টটি গঠিত হয়েছিল হবিবপুর গ্রামের সমমনা কিছু ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে৷ সংশ্লিষ্ট লেখকগণ কর্তৃক তাদের লেখার ভূমিকায় ব্যবহৃত ট্রাস্ট গঠন সম্পর্কিত তাদের একটি লাইন আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই আর তা হলো,-“হবিবপুর গ্রামের অধিকাংশ তরুণ তরুণী উদ্যমী পরোপকারী ও সমমনা যুবকদের সমন্বয়ে হবিবপুর জনকল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয়”৷
সম্মানিত পাঠক আমি আমার লেখার শুরুতেই দুটি লাইন উল্লেখ করেছি যার মোটামুটি অর্থ হলো, যে যতো বুদ্ধি করেই কারো সাথে প্রতারণা করুক না কেন নিজের অজান্তেই সে তার কাজেই সত্য বের করবার চিহ্ন রেখে যায় ৷ এখানে যে লাইনটি উল্লেখ করলাম তার সামান্য পর্যালোচনা করা যাক ৷ প্রথমত: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত হবিবপুর গ্রামের তরুণ তরুণীর সংখ্যা একেবারে কম হলেও হাজারের নিচে হবার কথা নয়, ৮৭ জন তরুনের সমন্বয়ে গঠিত এই সংখ্যাটি কিভাবে মোট সংখ্যার অধিকাংশ হয়, অধিকাংশ অর্থ হলো অর্ধেকের বেশি ইহা বুঝতে অবশ্যই সুশিক্ষিত কারো অসুবিধা হবার কথা নয় ৷ ২যত: উদ্যমী, পরোপকারী: তাদের দৃষ্টিতে গ্রামে অবশ্যই কিছু মানুষ রয়েছেন যারা উদ্যমি ও পরোপকারী এই গুনের অধিকারী নন, আর আছেন বলেই এই গুণগুলো তারা এখানে আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ ৩য়ত সমমনা: সমমনা শব্দের অর্থ হলো চিন্তা চেতনায় সমান বা কাছাকাছি মনমানসিকতার অধিকারী, আর ইহা বিবেচনা শুরু হয় যে বা যার মাধ্যমে কোনো সংগঠনের শুরু হয়েছিল তার কাছ থেকে ৷ অর্থাৎ যে বা যাদের মাধ্যমে কোনো সংগঠনের সূত্রপাত ঘটেছে সে বা তারা যাদেরকে চিন্তা চেতনায় মনমানসিকতায় তাদের কাছাকাছি মনে করবেন তারাই ঐ সংগঠনের জন্য সমমনা হিসাবে বিবেচিত হবেন ৷
সংশ্লিষ্ট লেখকদের এই লাইনটি পর্যালোচনা করে যে অর্থ দাঁড়ায় তা হলো,- উদ্যমী, পরোপকারী, সমমনা এই জাতীয় গুনের অধিকারী কিছু তরুন তরুণী এবং যুবক এই ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হেেছন অর্থাৎ এই জাতীয় গুন বহির্ভুত কেউ এই ট্রাস্টের সদস্য হতে পারেননি ৷ আর এতেই প্রমাণিত হয় ইহা হবিবপুর গ্রামের সর্বসাধারণের সংগঠন নয় ৷
এবার উক্ত লেখকগণ কর্তৃক গৃহীত তাদের সংবিধানের একটি লাইনের কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করতে চাই আর তা হলো,-“হবিবপুর গ্রামের শিক্ষিত যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করে….”,- এ দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, যারা শিক্ষিত এবং বয়সে যুবক কেবল তারাই এই ট্রাস্টের সদস্য হতে পারবেন ৷ এখন শিক্ষিতের সংজ্ঞা কি ? প্রাতিষ্টানিক ভাবে কতটুকু লেখা পড়া করলে একজন মানুষকে শিক্ষিত বলা হয় তারও নিশ্চয়ই একটা সীমারেখা আছে, আর এই বিষয়ে আশা করি সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের আমার চেয়ে ভালো জানারই কথা ৷ তাই সংবিধান অনুসারে যেহেতু কেবল শিক্ষিত যুবক ছাড়া কেউই এই ট্রাস্টের সদস্য হতে পারবেন না, আর এতেই প্রমাণিত হয় ইহা হবিবপুর গ্রামের সকল মানুষের সংগঠনতো নয়ই বরং শিক্ষিতের সংজ্ঞা অনুসারে ইতিমধ্যে ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত সদস্যগণের মধ্যে কতজনের ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতা রয়েছে তা ও বিশ্লেষণ সাপেক্ষ ৷
প্রত্যেক বিষয়েরই একটি নির্দিষ্ট ব্যাকরণ আছে যার ভিত্তিতে ঐ বিষয় পরিচালিত হয় ৷ হালচাষ যে করে তার ও হালচাষের একটা ব্যাকরণ আছে, সে যদি সঠিক ভাবে তার ব্যাকরণ অনুসরণ না করে তবে গরুর পা কাটবার সম্ভাবনা রয়েছে, ব্যাকরণ ছাড়া কিছুই চলা সম্ভব নয় ৷
হবিবপুর জনকল্যাণ ট্রাস্ট,- এখানে হবিবপুর শব্দটি ট্রাস্টের মালিকানার প্রতিনিধিত্ব করে, অর্থাৎ যারা হবিবপুরের অধিবাসী তারা এই ট্রাস্টের মালিক ৷ এখানে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, যুবক, বৃদ্ধ, উদ্যমী, উদ্যমী নন, পরোপকারী, পরোপকারী নন, এ জাতীয় বিশেষণে কোনো শ্রেণীকরণ করার অধিকার কারোরই নেই, হবিবপুরের আবাল বৃদ্ধ বনিতা প্রত্যেকেই এই সংগঠনের সদস্য হবার অধিকার সংরক্ষণ করেন ৷ গ্রামের সকল মানুষের অবগতি সাপেক্ষে সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ জাতীয় সংগঠনের সূত্রপাত ঘটে, এখানে কারো কোনো সুযোগ নেই গ্রামের একটি মানুষকে ও তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ৷
আর জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর,- এখানে হবিবপুর শব্দটি পিছনে প্রতিস্থাপিত হয়ে এই অর্থ বহন করে যে, জনকল্যাণ ট্রাস্ট একটি সংগঠনের নাম ইহা যাদের দ্বারা গঠিত হয়েছে তাদের ঠিকানা হবিবপুর ৷ অর্থাৎ হবিবপুরের কিছু সংখ্যক মানুষ যাদের কর্তৃক এই সংগঠন গঠিত হয়েছে তারাই হলেন এই সংগঠনের মালিক তথা সংগঠন সম্মন্ধে যেকোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী ৷
এই ট্রাস্টের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ অনেক সদস্যই “জাগরণী সাহিত্য পাঠাগার, হবিবপুর”- এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন ৷ সেদিন এই একই ব্যাকরণ অনুসরণ করে পাঠাগারের নামে ও হবিবপুর শব্দটি নামের শেষে প্রতিস্থাপিত হয়ছিল এবং তা পাঠাগারের সাথে সম্পৃক্ত সকলের মতামতেই হয়েছিল কেবল মিছবার মতে হয়নি ৷ তাই এই ব্যাকরণ সংশ্লিষ্টদের কাছে অপরিচিত হবার কথা নয় ৷ সংগত কারনেই সমমনা কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত আমাদের ট্রাস্টের নামে হবিবপুর শব্দটি নামের শেষে প্রতিস্থাপনের আমার যুক্তিটি ছিল একেবারেই যৌক্তিক এবং নির্ভুল আর এই কারণেই বাকি সদস্যগণ কর্তৃক আমার বক্তব্যটি গৃহীত হয়েছিল ৷ তাই আমার এই প্রস্তাবে কোনো হীন স্বার্থতো ছিলই না বরং আমাদের ট্রাস্টের গঠন কাঠামো অনুযায়ী এটাই ছিল যুক্তিসঙ্গত এবং ব্যাকরণ সম্মত ৷ কিন্তু বেকায়দায় পড়ে নিজের হীন স্বার্থে উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে কাউকে গ্রামের মানুষের কাছে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপনের উদ্যেশ্যে কেউ যদি ব্যাকরণ ভুলে যায় তবে তার নতুন করে ব্যাকরণ শিক্ষা নেওয়া উচিত, কিন্তু নিজের অজ্ঞতার জন্য জেনে শুনে যে কোনো কিছুকে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে কাউকে মানুষের কাছে হেয় করার চেষ্টা ভন্ডামির সামিল ৷ আর ইহাই হলো মজিদের চরিত্র ৷
সকল ট্রাস্টিগণের দ্বারা সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত ” জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে,” এই নাম ট্রেড মার্ক সহ চ্যারিটি রেজিস্টার্ড হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টিগণের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার হওয়া অস্বাভাবিক বা অযৌক্তিক কিছু নয় এবং তা পবষবনৎধঃব করতে গিয়ে কেউ যদি কেক কাটে, মিষ্টি খায় তাতো অন্য কারো গাত্র দাহের কারণ হবার কথা নয় ৷ সংশ্লিষ্ট লেখকেরা তাদের লেখায় উল্লেখ করেছেন, তাদের আইনি সূত্রে পাওয়া নাম ব্যবহারে আমরা নাকি হুমকি প্রদর্শন করেছি, বিষয়টি বিস্ময়কর, অযৌক্তিক এবং চরম মিথ্যা ৷ কারণ আমাদের কর্তৃক ” জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে,” ট্রেড মার্ক সহ চ্যারিটি রেজিস্টার্ড হওয়ার পর এই নাম ব্যবহারে আর কারো যে আইনগত কোনোঅধিকার নেই, আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে আমরা কেবল এই বিষয়টি সবাইকে অবহিত করতে চেয়েছি ৷ আইনি সূত্রে পাওয়া কারো কোনো নাম ব্যবহারে কখনই আমাদের কোনো প্রচেষ্টা ছিল না বরং তাদের কর্তৃক রেজিস্টার্ডকৃত তাদের সংগঠনের নাম যথাযথ ভাবে ব্যবহৃত না হয়ে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করার বিষয়টি আমাদেরকে ব্যথিত করে ৷ সংশ্লিষ্টদের কর্তৃক তাদের সংগঠনটি যে নামে চ্যারিটি রেজিস্টার্ড হয়েছে তা হলো,- ” ঐড়নরনঢ়ঁৎ ঔড়হড়শড়ষষুধহ ঃৎঁংঃ ঔড়মড়হহধঃযঢ়ঁৎ ঝুষযবঃ ” ৷
১মত এর দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ইহা সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর গ্রাম নয়, ইহা হলো সিলেট জেলার অন্তর্গত কোনো এক উপজেলার কোনো এক হবিবপুর গ্রাম, যার সাথে আমাদের প্রিয় জন্মস্থান হবিবপুর গ্রামের কোনই সম্পর্ক নেই ৷
২য়ত ঐড়নরনঢ়ঁৎ এবং লড়মড়হহধঃযঢ়ঁৎ এই দুটো ইংরেজি শব্দের একটি সার্বজনীন প্রতিষ্টিত বানান রয়েছে, এখানে পুরোপুরি এর বিকৃত ব্যবহার করা হয়েছে, যার অধিকার কারে নেই ৷
৩য়ত ঔড়হড়শড়ষষুধহ শব্দটির যদি বাংলা উচ্চারণ করা হয় এর উচ্চারণ দাঁড়ায় জন+কল্ল+যফলা+া+ণ = জনকল্ল্যাণ ৷ বাংলা বানানে ডাবল সাউন্ড বুঝাতে একটি অক্ষর যুক্তভাবে দুইবার ব্যবহৃত হয়, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি অক্ষরের সাথে যফলা ব্যবহৃত হয়ে ঐ অক্ষরের ডাবল সাউন্ড হয় ৷ যেমন কল্যা,- হয় ল এর সাথে ল এবং া যুক্ত হয়ে ল্লা হবে নয়তো ল এর সাথে যফলা এবং া যুক্ত হয়ে ল্যা হবে, ল এর ডাবল সাউন্ড বুঝাতে একসাথে ল্ল এবং যফলা ব্যবহৃত হওয়ার কোনো বিধান বাংলা বানানে নেই ৷ তাই ইংরেজি এই ঔড়হড়শড়ষষুধহ এর ংঢ়বষষরহম হলো জনকল্ল্যান যা সঠিক বানান নয়, বাংলায় জনকল্যাণ লিখতে হলে ইংরেজিতে ঔধহধশধষুধহ এইভাবে থাকতে হবে ৷
অতএব উপরোল্লেখিত এই শব্দ গুলোকে যেভাবেই গুরিয়ে ফিরিয়ে বিকৃত করে ব্যবহার করা হোক না কেন, তার দ্বারা কেউ যদি মনে করেন প্রথম প্রস্তাবিত নামে ফিরে গেছেন তা কল্পনাতেই সম্ভব বাস্তবে নয় ৷ কারণ একমুহুতের জন্যে বক্তব্যের প্রয়োজনে যদি আমি ট্রাস্টের আগের নাম হবিবপুর জনকল্যাণ ট্রাস্ট স্বীকার করি তবে ও দেখবেন সেখানে জগন্নাথপুর এবং সিলেটের কোনো অস্তিত্ব ছিল না আর শব্দগত বানান বিকৃতির কথা বাদই দিলাম ৷ অর্থাৎ বাস্তবতা হলো ” জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে,”-এর বৈধ স্বত্বাধিকারী কর্তৃক এই নামটি ট্রেড মার্কড ও চ্যারিটি রেজিস্টার্ড হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জনেরা নানান বিকৃতির মাধ্যমে জনকল্যাণ নামটিতে টিকে থাকবার নানান ব্যর্থ চেষ্টার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত জেলাচ্চুত হয়েছেন ৷ ফলে রেকর্ড অনুযায়ী এটি এখন আর সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কোনো সংগঠন নয় ৷ রেজিস্টার্ডকৃত ঔড়হড়শড়ষষুধহ শব্দের যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি যদি কেউ এর ব্যত্যয় প্রমান করতে পারেন আমি প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমা চাইব ৷ তাই যে, যে নামে নিজের সংগঠনকে রেজিস্টার্ড করেছেন সকলের উচিত নিজের সংগঠনের নামের সঠিক স্পেলিং ব্যবহার করা, কারোরই উচিত নয় মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর স্পেলিং ব্যবহার করে সরলপ্রাণ গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করা ৷
জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস ইহা এক বিন্দু ও মিথ্যা নয় ৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩০০ জন সংসদ সদস্য দেশের সকল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন তাই কোনো বিষয়ে বিভক্তি দেখা দিলে জনগণের প্রতিনিধি এই ৩০০ জন সদস্যের মধ্যে ভোটাভুটি হয়, জনগণের মধ্যে নয় ৷ তেমনি আমাদের ট্রাস্টে ও সকল ক্ষমতার উৎস ট্রাস্টিগণ সন্দেহ নেই, কিন্তু ৬ জন পরিচালনা পর্ষদ সদস্য সকল ট্রাস্টির মনোনীত প্রতিনিধি, তাই এই পর্ষদে কোনো বিভক্তি দেখা দিলে তাদের মধ্যে ভোটাভুটির মাধ্যমে ট্রাস্টিগণের মতামতই পরিলক্ষিত হয় ৷ ফলে সঙ্গত কারণেই পরিচালনা পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তই প্রকারান্তরে বেশির ভাগ ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত ৷ তাই পরিচালনা পর্ষদের ১ জন সদস্য কর্তৃক আহবানকৃত সভাটি যেমন অবৈধ তেমনি এই সভার সকল কার্যক্রম ও অবৈধ ৷
এবার আসা যাক ক্ষমতার উৎস ট্রাস্টিগণের মতামত যাচাইয়ের মাধ্যম ওয়াটসআপ গ্র“প প্রসঙ্গে,- উক্ত ১ জন সদস্য কর্তৃক আহবানকৃত ২৮ জুলাই ২০১৫ এর সভায় ওয়াটসআপ গ্রুপকে তাদের অফিসিয়াল গ্রুপ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, এতেই প্রমাণিত হয় ২৮ জুলাই এর আগ পর্যন্ত এই ওয়াটসআপ কোনো স্বীকৃত বা অনুমোদিত মাধ্যম ছিল না ৷ অতএব তাদের বক্তব্যেই যেহেতু ২৮ জুলাই এর আগ পর্যন্ত ট্রাস্টে ওয়াটসআপ গ্রুপের কোনো রূপ বৈধতা ছিল না সেহেতু ট্রাষ্টে এর কোন অস্থিত্বই নেই ফলে ইহার মাধ্যমে কোনো বৈধ কার্যক্রম ও সম্ভব নয় ৷
সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমি সত্যকে লুকায়িত করার চেস্টা করছি, সংশ্লিষ্ট লেখকেরা তাদের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের নিজের অজান্তেই শিকার করে নিয়েছেন যে, আমার উপস্থাপনা সুন্দর ৷ যেকোনো ভালো এবং গুণগত মানের রচনার জন্য সুন্দর উপস্থাপনা একটি জরুরি বিষয় ৷ যে ভাষা পড়িবা মাত্র সকলেই বুঝিতে পারে ইহাই সর্বোৎকৃষ্ট রচনা, এই বিষয়ে ভাষা বিজ্ঞানীরা সকলেই একমত ৷ আমি বিশ্বাস করি জনকল্যাণ ট্রাস্টের সংবিধান লেখার মতো সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা আমার রয়েছে, আর ট্রাস্টের যেকোনো একজন সদস্যের এই অধিকার রয়েছে তার নিজের সংগঠনের সংবিধান রচনা করার যদি এই বিষয়ে সে তার যোগ্যতা প্রমান করতে পারে, এতে অবশ্যই দোষের বা লজ্জার কিছু নেই ৷ বরং দোষ তাদের, লজ্জা তাদের হওয়া উচিত যারা বাংলা বিষয়ে সীমাবদ্ধ জ্ঞান ভান্ডার নিয়ে, স্বীয় ভাষ্যমতে যারা ব্যাকরণ জানেন না, নিজে লিখার ক্ষমতা যাদের নেই, অন্যের মাধ্যমে লিখিয়ে নিজে সংবিধান প্রণেতা হওয়ার স্বাধ যারা অন্তরে লালন করে ৷ সংবিধানতো সে-ই লিখবে যার সংবিধান লেখার যোগ্যতা আছে, এবং বাস্তবে ও তা-ই হয়েছে ৷ তাই আমার ভিতরে সংবিধান প্রণেতা হতে না পাড়ার কোনো ক্ষোভ নেই, কারণ ” জনকল্যাণ ট্রাস্ট হবিবপুর, ইউকে “- এর সংবিধান আমিই রচনা করেছি ৷ আমাকে সংবিধান লিখতে না দেওয়ার চক্রান্ততো কম হয় নি, বাংলাদেশ থেকে এই ট্রাস্টেরই একজন সদস্যের ভাই ট্রাস্টের সিনিয়র একজন সদস্যকে ফোন করে আমার এবং ওপর সদস্য কর্তৃক লিখা উভয় সংবিধান বাতিল করে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সংবিধান লেখানোর দায়িত্ব উক্ত সদস্যকে তার উপর নেওয়ার অনুরোধ করেন ৷ এবং তৃতীয় ব্যক্তি হিসোবে তিনি ৪/৫ ঘন্টা সময়ের ভিতরে সংবিধান লিখে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ৷ কিন্তু উক্ত সদস্য কর্তৃক তিনি প্রত্যাখ্যাত হন, চক্রান্ত থেমে থাকেনি সময় অনেক কিছুই পরিষ্কার করে দেয় ৷ কোনো চক্রান্তই এখন আর গোপন নেই, কেবল আমাকে সংবিধান লিখতে না দেওয়ার জন্য হিংসার আগুনে পোড়ানো হয়েছে জনকল্যাণ ট্রাস্টের মতো সম্ভাবনাময় একটি স্বপ্নকে ৷ (চলবে)।