ছাতক প্রতিনিধি : ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশনী জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামী শামীম আহমেদ ওরফে সিফাতের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে। সিলেট মদন মোহন কলেজে পড়াকালীন সময়ে ২০১০ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল সে।
শামীমের বাবার নাম মৃত আব্দুল কুদ্দুস। তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১০ সালে আটকের পর পরিবারের সদস্যরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে উগ্র মতাদর্শ ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহবান জানালে সে বলেছিল, “আল্লাহর পথে নেমেছি, জান্নাতে যাব, তোদের কথা শুনব না।” ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশেক সুজা মামুন জানান, ২০১০ সালে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের লিফলেট বিতরণ কালে তাকে আটক করেছিল ছাতক পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে সে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে যায়। এই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে বলে জানান ওসি। জানা যায়, শামীম মদন মোহন কলেজের পড়ার সময় সিলেট নগরীর রিকাভীবাজারের একটি বাসায় বসবাস করত। ওখানেই উগ্রবাদী মতবাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে সে। তার মুহিন নামের এক চাচাত ভাইও জঙ্গি সন্দেহে আটক হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকে ঢাকা থেকে তাকে আটক করার কথা ক্ষুদে বার্তায় জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগ। গত মে মাসে ডিবি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ ও পুরস্কার ঘোষণা করে। ওই ছয়জনের মধ্যে শামীমও ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, সিফাত ছাড়াও সামির, ইমরান—এসব নামে পরিচিত শামীম। দীপন হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সমন্বয়কারী ছিলেন সিলেট অঞ্চলের ছেলে শামীম। ওই হত্যায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। উল্লেখ্য, ৩১ নভেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় ফেনীর ফুলগাজী থেকে মুফতি জাহিদ হাসান মারুফ নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছিল।