• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ফেঞ্চুগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জাহিদ হত্যাকান্ড : ভাই ও ভাতিজাদের হুমকিতে নিহতের ২ মেয়ে পালিয়ে রয়েছে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৪, ২০১৬
ফেঞ্চুগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জাহিদ হত্যাকান্ড : ভাই ও ভাতিজাদের হুমকিতে নিহতের ২ মেয়ে পালিয়ে রয়েছে

স্টাফ রিপোটারঃ ফেঞ্চুগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জাহিদ হত্যাকান্ডের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যার মোটিভ উদঘাটন করে ঘাতকদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে পিতা মাতাহীন নিহতের ২ মেয়ে টিয়ানা আক্তার ও ইয়ানা আক্তার আপন চাচা ও চাচাতো ভাইদের হুমকিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্পদের লোভে আপন ভাই সাহিদ ও তার ছেলেরা এই হত্যাকান্ডে জড়িত বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক বিএনপি নেতা জাহিদ আহমদ (৬০) কে কে বা কাহারা রাতে বাড়ি ফেরার পথে নিমমভাবে খুন করে ধানের জমিতে লাশ ফেলে রাখে। পরদিন লাশ দেখতে এলাকার হাজারো মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মগে প্রেরন করে। এ ঘটনায় ওইদিনই ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় কয়েস আহমদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ১ /২০১৫ তারিখ ০৫/০৪/১৫। নিমম এই হত্যাকান্ডের পেছনে সম্পদলোভী নিহতের ভাই সাহিদ আহমদ এবং তার পুত্র ও সজনরা জড়িত রয়েছে বলেই ধারনা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, নিহতের ২ মেয়ের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেয়ায় তাদেরকে জোরপুবক বিয়ে করে ওই সম্পদ গ্রাস করতে সাহিদ আহমদের পুত্র আয়ান আহমদ এবং ছাত্রলীগ নেতা খোকন টিয়ানা এবং ইয়ানা আক্তারের পিছু নেয়। টিয়ানা আক্তার কলেজে যাবার পথে একদিন খোকন তার পথ আগলে দাঁড়ায় এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় টিয়ানা তাকে পাত্তা না দিয়ে কলেজে গিয়ে ম্যাডামদের বিষয়টি জানায়। কলেজ কতৃপক্ষ খোকনকে ডেকে এমন না করতে শাষিয়ে দেন। এতে খোকন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওই ঘটনার সপ্তাহ পরে
একদিন টিয়ানা ও ইয়ানা কলেজে যাবার পথে ছাত্রলীগ নেতা খোকন এবং আয়ান আহমেদ তাদের পথ আগলে ধরে দুজনকে জানায় তুমরা কলেজে আমাদের বিষয়ে নালিশ কেন করেছো। তুমরা কি জাননা যে আমরা যা চাই তাই করতে পারি। আমরা ক্ষমতাসীন দলের লোক। আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই। এক পযায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আয়ান আহমেদ ইয়ানকে বলে আমি তুমাকে বিয়ে করবো আর খোকন টিয়ানকে বিয়ে করবে। আমাদের এই কাজে বাধা দেয়ার শক্তি ও সাহস কারো নেই।
ওই ঘটনার পর থেকে টিয়ানা ও ইয়ানা কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। নিহত জাহিদ আহমদের নিকটজনেরা জানান, সাহিদ আহমদ নিহত জাহিদ আহমদের জায়গা জমি দখলে নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বতমান আওয়ামীলীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীরর নিকট আত্মীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা খোকন এবং সাহিদ আহমদের পুত্র আয়ান আহমদ মেয়ে ২টিকে পেতে হিংগ্র হয়ে উঠেছে। তাদেরকে যেকোনো সময় তুলে নিতে পারে এই ভয়ে ২ জনকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নিহত জাহিদ আহমদের স্ত্রীর ভাই কয়েস আহমদ জানান, টিয়ানা এবং ইয়ানাকে তাদের জীবন রক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।