জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :::::: জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর রৌডর গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের তিন সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে। কিশোরী মেয়েটি বর্তমানে চার মাসের অন্তঃস্বত্বা বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মখন মিয়া বাদি হয়ে ১৭ আগস্ট সুনামগঞ্জের নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী লিখিত অভিযোগে বলেন, আমার দরিদ্রতার সুযোগে ১৪ বছরের মেয়েকে একই গ্রামের হাফিজ মিয়া (৩৮) প্রতিবেশী ও আত্বীয়তার সুযোগে তার স্ত্রীর অসুস্থতা জনিত কারণে গত ৫ এপ্রিল কিছুদিনের জন্য গৃহকর্মী হিসেবে কাজে নেয়। কিছুদিন পর মেয়েকে দেখতে গেলে মেয়েকে অসুস্থ মনে হলে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়ে জানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাফিজ তাকে ধর্ষণ করে। একইভাবে আরো কয়েকদিন ধর্ষণ করলে মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে আমি স্থানীয় নয়াবন্দর বাজারে পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা করে দেখেন মেয়ে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।
বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেয়। তার সাথে একই গ্রামের সফর আলী, বুলবুল মিয়া, আব্বাছ উদ্দিন ও ধর্ষণকারীর পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে গুম করিয়া নিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বাদি মখন মিয়া বলেন, দরিদ্রতার সুযোগে আমার কিশোরী মেয়েটির সর্বনাশ যে করেছে আমি তার বিচার চাই।