স্টাফ রিপোর্টার ::::: সিলেটে একাধিক মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন অভিভাবক মহল। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার হওয়ায় অভিভাবক মহলের চিন্তা আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে। সিলেট বিভাগের শুধুমাত্র সিলেট জেলাতেই এখন পর্যন্ত একাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার শহরতলির শাহপরান (রহ.) থানা এলাকা থেকে এক কিশোর মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়েছেন। এর আগে একই এলাকার বটেশ্বর থেকে আরেক মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়েছিলেন।
আগস্টের শুরুর দিকে বিশ্বনাথের সৎপুর থেকে এক মাদরাসা ছাত্রীও নিখোঁজ হয়েছিলেন। অবশ্য নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর তার সন্ধান মিলেছে। শাহপরান (রহ.) থানার হাতুড়া গ্রামের ইসলাহুল মুসলিমিন মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ফুজায়েল আহমদকে (১৬) খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গতকাল মঙ্গলবার থেকে। সে কানাইঘাট উপজেলার ডাকনাইল দক্ষিণ গ্রামের ইসরাক আলীর ছেলে।
মাদরাসায় বসবাসরত ছাত্র ফুজায়েল আহমদ গত মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে হাতুড়া গ্রামের জনৈক লাল মিয়ার বাড়িতে সকাল বেলার খাবার খেতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও এখনো মিলেনি তার সন্ধান। সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে শাহপরান থানায়।
ফুজায়েলের গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা- ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি, চোখের রং কালো, সে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পরণে ছিল সাদা পাঞ্জাবী ও লুঙ্গি। তার সন্ধান পেলে ০১৭২২৬৪১৪০৬ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর শিবগঞ্জ জামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র তোফিক এলাহী মোসা (১৪) মাদরাসা নিখোঁজ হয়। সে বিশ্বনাথ উপজেলার পূর্ব শাশ্যাম আক্রমপুর গ্রামের মো. হারিছ মিয়ার ছেলে। সে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে ৭টার সময় মাদরাসার টিফিন চলাকালীন সময় কাউকে কিছু না বলে বাহিরে চলে যায়। পরে আর তার খোঁজ মিলেনি। মাদরাসা থেকে যাওয়ার সময় তার পড়নে ছিল নীল রঙ্গের পাঞ্জাবী। গায়ের রং ফর্সা, লম্বা অনুমানিক ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি সে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এছাড়া আগস্টের শুরুতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের সৎপুর কামিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন। নিখোঁজের দু’দিন পর ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। এসব নিখোঁজের ঘটনায় পৃথক পৃথক ভাবে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারের ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।