বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ::::: অবশেষে সিলেটের বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী খনন করতে দুই কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। নদীর পানি কমলেই উপজেলা পরিষদের গেটের সামন থেকে শুরু করে নতুনভাবে ৭ কিলোমিটার খনন করা হবে বলে সিলেটের পানি উন্নয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু নদীর দু’পাড় এমনভাবে দখল হয়ে আছে খনন কাজে ব্যবহৃত মেশিনটি দাঁড় করানোর মতো চর নেই। ফলে নদীর খনন কাজ শুরু হলে উপজেলা সদরে নদী দু’পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ানোর আশংকা রয়েছে। জানা যায়, বাসিয়া নদীর ৭ কিলোমিটার খনন করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নদীর ৭ কিলোমিটার খনন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বর্তমানে এর যাচাই-বাছাই চলছে। কনট্রাকশন কার্যাদেশের পর পানি কমলেই কাজ শুরু করা হবে বলে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান।
খনন কাজটি বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের গেটের সামন থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সদর উপজেলার সীমানা থেকে বাসিয়া নদী খনন শুরু করে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বর্তমান প্রক্রিয়াধীন ওই খনন কাজটিও সেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাকি (বিশ্বনাথ উপজেলা পর্যন্ত) অংশের খনন কাজ করানো হবে। কিন্তু উপজেলা পরিষদের গেটের সামন থেকে ‘চরচ-ি’ খালের সংযোগ পর্যন্ত নদীর দু’পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী স্থাপনা। দখলদারদের গড়ে তোলা স্থাপনায় বিলীন হয়ে গেছে নদীর দু’পাড়। শুধু জালাশয় ছাড়া নদীর কোনো পাড় নেই। তাই খনন কাজে ব্যবহৃত মেশিন নামানোরও পথ বন্ধ রয়েছে। এসব স্থাপনা খনন কাজে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই খনন কাজ শুরু করার আগে নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ কারার দাবি অনেকের।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আবদুল হক বলেন, খনন কাজে কোনো বাধা এলে বা কেউ সহযোগিতা চাইলে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।