• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ডা. হারিছ আলীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, স্বনামধন্য চিকিৎসক হারিছ আলীর আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট তিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. হারিছ আলীর জন্ম ১৯৪১ সালের ৩১ মে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দেবেরগাঁওয়ে।
তিনি ছিলেন স্বাপ্নিক এবং সংগ্রামী। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে; এর আগে (১৯৬২-১৯৬৩) সিলেট মেডিক্যাল কলেজ ও সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে ছাত্রসংগঠক হিসেবে; (১৯৭৯-১৯৮১) যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এবং যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে; কুড়ি শতকের নয়ের দশকে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাংবাদিকতার জগতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সম্পাদিত ‘বাংলার ডাক’-এ তিনি সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘বজ্রকণ্ঠ’-এর (১৯৮১) সম্পাদকম-লীর সদস্য।
রাজনীতি, চিকিৎসা আর সাহিত্যসাধনাই হারিছ আলীর আদর্শঘটিত কর্মোদ্যম। ২০১৪ সালে মৃত্যুর কিছুদিন পরই তাঁকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৮ সালে তাঁর লেখা লিমেরিক ও গানের গ্রন্থ ‘ছন্দ সুরের বন্দনা’ ঢাকার উৎস প্রকাশন থেকে বের হয়। তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘স্বাপ্নিক এবং সংগ্রামী ডা. হারিছ আলী’ (২০১৪) প্রকাশিত হয়েছে ডা. হারিছ আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। ৪১৬ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন কবি আবিদ ফায়সাল ও প্রাবন্ধিক ফেরদৌস কবির টিপু। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে শতাধিক লেখকের লেখায় ডা. হারিছ আলীর ঘটনাবহুল জীবনের বহু অকথিত কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। উপস্থাপিত হয়েছে শিহরনসঞ্চারি সাহসী আখ্যান। -বিজ্ঞপ্তি